ঢাকা ০৭:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামীকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত

ঝিনাইদহে স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামী আব্দুল হালিমকে মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মোঃ মিজানুর রহমান এ দন্ডাদেশ প্রদান করেন। মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামী শৈলকুপা উপজেলার ছাত্তার মন্ডলের ছেলে আবুদল হালিম পলাতক রয়েছে।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি বজলুর রহমান জানান, শৈলকুপা উপজেলার আনন্দনগর গ্রামের আসালত হোসেনের মেয়ে ববিতা খাতুনের একই উপজেলার আব্দুল হালিমের সাথে বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী ববিতা খাতুনের উপর পাশবিক নির্যাতন করে আসছিল। এরই জেরে স্বামী হালিম ২০১৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় স্ত্রী ববিতাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যার পর ববিতার লাশ বাড়ির পাশের মেহগনি বাগানে ফেলে রাখে। পরে পুলিশ গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ববিতা খাতুনের মা সালেহা বাদী হয়ে ওই বছরের ২০ ডিসেম্বর শৈলকুপা থানায় ৩ জনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২৬ মে প্রধান আসামী আব্দুল হালিমের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। দীর্ঘবিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত আসামীকে মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রদান করেন। সেই সাথে ১ লক্ষ টাকা অর্থদন্ডেও দন্ডিত করা হয়। আসামী পলাতক থাকায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করা হয়েছে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ঝিনাইদহে স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামীকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত

আপডেট সময় : ০২:১০:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০২৩

ঝিনাইদহে স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামী আব্দুল হালিমকে মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মোঃ মিজানুর রহমান এ দন্ডাদেশ প্রদান করেন। মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামী শৈলকুপা উপজেলার ছাত্তার মন্ডলের ছেলে আবুদল হালিম পলাতক রয়েছে।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি বজলুর রহমান জানান, শৈলকুপা উপজেলার আনন্দনগর গ্রামের আসালত হোসেনের মেয়ে ববিতা খাতুনের একই উপজেলার আব্দুল হালিমের সাথে বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী ববিতা খাতুনের উপর পাশবিক নির্যাতন করে আসছিল। এরই জেরে স্বামী হালিম ২০১৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় স্ত্রী ববিতাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যার পর ববিতার লাশ বাড়ির পাশের মেহগনি বাগানে ফেলে রাখে। পরে পুলিশ গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ববিতা খাতুনের মা সালেহা বাদী হয়ে ওই বছরের ২০ ডিসেম্বর শৈলকুপা থানায় ৩ জনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২৬ মে প্রধান আসামী আব্দুল হালিমের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। দীর্ঘবিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত আসামীকে মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রদান করেন। সেই সাথে ১ লক্ষ টাকা অর্থদন্ডেও দন্ডিত করা হয়। আসামী পলাতক থাকায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করা হয়েছে।