দুবাইয়ে আমদানি করা মাংস বিক্রি হয় ৫০০ টাকা কেজি দরে। আর দেশে গরুর মাংস কিনতে হয় ৭৫০ টাকায় উল্লেখ করে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, দাম না কমলে ব্রয়লার মুরগি ও গরুর মাংস আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হবে।
মো. জসিম উদ্দিন বলেন, এখন গরু ও পোল্ট্রির দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। দেশীয় এ খাতকে বাঁচাতে এতদিন মাংস আমদানি বন্ধ ছিল। আমদানি করলে যদি বাজারে দাম কমে যায়, তাহলে আমদানি করতে হবে। মানুষ যদি ন্যায্যমূল্যে পণ্য কিনতে না পারে, তাহলে ইন্ডাস্ট্রির কথা চিন্তা করে লাভ নেই।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রাজধানীর মতিঝিলে ফেডারেশন ভবনে পবিত্র রমজান উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি, মজুত, সরবরাহ, বাজার পরিস্থিতি ও বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এমনটি বলেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি জানান, এবার চাহিদার তুলনায় বেশি খেজুর আমদানি করা হয়েছে। শুধু খেজুর নয়, চিনি ও ভোজ্যতেলসহ অন্যান্য পণ্যও পর্যাপ্ত রয়েছে।
তিনি বলেন, দুবাইয়ে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫০০ টাকা। কিন্তু দুবাইয়ে গরু উৎপাদন হয় না। তারা আমদানি করে যদি ৫০০ টাকা দিতে পারে তাহলে আমারা উৎপাদন করে কেন এত দামে কিনব? ব্রয়লার মুরগি এখন ২৮০ টাকা কেজি। এখন যদি সরকার মনে করে আমদানি করলে দাম কম পড়বে, তাহলে আমদানি করবে।
এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, এম এ মোমেন, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন ও নিত্যপণ্যের ব্যবসা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের নেতাসহ বাজার কমিটির সভাপতিরা এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
রমজানে সরকার বাজার পর্যবেক্ষণে কঠোর রয়েছে উল্লেখ করে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, কোনো বাজারে বেশি দাম রাখা হলেই কিন্তু বাজার কমিটি বাতিল করবে সরকার। একইসঙ্গে দাম বেশি নেওয়া প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সও বাতিল করা হবে। আমরা চাই না রোজায় দাম বেশি নেওয়ার কারণে কোনো ব্যবসায়ীর লাইসেন্স বাতিল হোক বা কাউকে আটক করা হোক।
সভায় মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, কেউ যদি অযৌক্তিকভাবে পণ্যের দাম বাড়ায় তাহলে লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করা হবে।
সংবাদ শিরোনাম ::
দাম না কমলে আমদানি করা হবে মাংস : এফবিসিসিআই সভাপতি
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- আপডেট সময় : ০৬:০০:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩
- 153
জনপ্রিয় সংবাদ