ঢাকা ১১:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুলতান’স ডাইনের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পায়নি ভোক্তা অধিদপ্তর

খাসির বদলে অন্য প্রাণীর মাংস ব্যবহারে সুলতান’স ডাইনের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা প্রমাণিত হয়নি। ফলে, প্রতিষ্ঠানটিকে অন্য প্রাণীর মাংস ব্যবহারের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া যেতে পারে বলে জানিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
সোমবার (১৩ মার্চ) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে সুলতান’স ডাইনের তদন্ত সংক্রান্ত বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে এসব তথ্য।
রেস্তোরাঁটি সরেজমিনে তদন্ত এবং অভিযুক্তের মৌখিক ও লিখিত বক্তব্য পর্যালোচনা করে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিউজ্জামান লিখিত বক্তব্যে বলেন, সুলতান’স ডাইন ‘মা বাবার দোয়া গোস্ত বিতান, কাপ্তানবাজার’ নামক ভেন্ডরের মাধ্যমে খাসির মাংস সংগ্রহ করে। কাপ্তানবাজারে খাসি জবাই করার সময় অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মাঝে মধ্যে উপস্থিত থাকেন। ভেন্ডর নিজ দায়িত্বে মাংস অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানে পৌঁছায়।
গত ৯ মার্চ অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মৌখিকভাবে ১৫০ কেজি খাসির মাংস সংগ্রহের কথা জানান। কিন্তু ভেন্ডর ১২৫ কেজি সরবরাহের কথা জানান। সন্দেহযুক্ত চিকন হাড়ের ব্যাপারে অভিযুক্ত জানান যে, ৭ থেকে ৯ কেজি ওজনের খাসির মাংস তারা ব্যবহার করেন। আকারে ছোট হওয়ায় এসব খাসির হাড় চিকন হয়।
এদিকে যে মোবাইল নম্বর (০১৭২৩৩০৯৯০২) থেকে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানে অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল তাও বন্ধ পাওয়া যায়।
তাই খাসি বাদে অন্য প্রাণীর মাংসের ব্যবহার সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান সুলতান’স ডাইনকে অন্য প্রাণীর মাংস ব্যবহারের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন ভোক্তার মহাপরিচালক।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সুলতান’স ডাইনের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পায়নি ভোক্তা অধিদপ্তর

আপডেট সময় : ০৪:০০:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩

খাসির বদলে অন্য প্রাণীর মাংস ব্যবহারে সুলতান’স ডাইনের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা প্রমাণিত হয়নি। ফলে, প্রতিষ্ঠানটিকে অন্য প্রাণীর মাংস ব্যবহারের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া যেতে পারে বলে জানিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
সোমবার (১৩ মার্চ) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে সুলতান’স ডাইনের তদন্ত সংক্রান্ত বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে এসব তথ্য।
রেস্তোরাঁটি সরেজমিনে তদন্ত এবং অভিযুক্তের মৌখিক ও লিখিত বক্তব্য পর্যালোচনা করে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিউজ্জামান লিখিত বক্তব্যে বলেন, সুলতান’স ডাইন ‘মা বাবার দোয়া গোস্ত বিতান, কাপ্তানবাজার’ নামক ভেন্ডরের মাধ্যমে খাসির মাংস সংগ্রহ করে। কাপ্তানবাজারে খাসি জবাই করার সময় অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মাঝে মধ্যে উপস্থিত থাকেন। ভেন্ডর নিজ দায়িত্বে মাংস অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানে পৌঁছায়।
গত ৯ মার্চ অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মৌখিকভাবে ১৫০ কেজি খাসির মাংস সংগ্রহের কথা জানান। কিন্তু ভেন্ডর ১২৫ কেজি সরবরাহের কথা জানান। সন্দেহযুক্ত চিকন হাড়ের ব্যাপারে অভিযুক্ত জানান যে, ৭ থেকে ৯ কেজি ওজনের খাসির মাংস তারা ব্যবহার করেন। আকারে ছোট হওয়ায় এসব খাসির হাড় চিকন হয়।
এদিকে যে মোবাইল নম্বর (০১৭২৩৩০৯৯০২) থেকে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানে অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল তাও বন্ধ পাওয়া যায়।
তাই খাসি বাদে অন্য প্রাণীর মাংসের ব্যবহার সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান সুলতান’স ডাইনকে অন্য প্রাণীর মাংস ব্যবহারের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন ভোক্তার মহাপরিচালক।