ঢাকা ০৭:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অধ্যক্ষ-শিক্ষক দ্বন্দ্বে অচল অবস্থা ঝালকাঠি নার্সিং কলেজে

অধ্যক্ষ-শিক্ষক দ্বন্দ্বে অচল অবস্থা ঝালকাঠি নার্সিং কলেজে

ঝালকাঠি নার্সিং কলেজের শিক্ষকদের মাঝে বিরোধ চরম আকার ধারন করেছে। গত ২৭ জানুয়ারী কলেজের ইনস্ট্রাকটর হাসিনা তাজমিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মহাপরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ গীতা রানী সমদ্দার। এর জের ধরে হাসিনা তাজমিন ৩০ জানুয়ারী কলেজের অফিস সহকারী কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে ছাত্রী হয়রানি ও হোস্টেলে থাকাসহ বেশ কিছু অভিযোগে নার্সিং ও মিডওয়াইফারী অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

মূলত এরপরই শিক্ষকদের মধ্যে বিরোধ প্রকাশ্যে আসতে থাকে। তাদের এ বিরোধে নার্সিং শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করার অভিযোগও পাওয়া গেছে। ২০১৯ সালে ঝালকাঠি নার্সিং কলেজটির ভবন হস্তান্তর করা হলেও ২০২১ সালে অধ্যক্ষ ও ১জন কর্মচারী নিয়ে কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়।

কলেজ অধ্যক্ষ্যের নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করেন, চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারী নার্স শিক্ষক হাসিনা তাজমিন যোগদান করার পরই কলেজের দৃশ্যপট পরিবর্তন হয়ে যায়। তিনি যোগদান পরার পর থেকেই ছাত্রীদের এবং শিক্ষকদের মধ্যে বিভেদ তৈরি শুরু করেন। হাসিনা তাজমিন বরগুনা নার্সিং ইনস্টিটিউট এ কর্মরত থাকাকালীন সেখানকার নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ এর সাথে গণ্ডগোল করে খারাপ পরিস্থিতি সৃষ্টি করলে তখন নার্সিং মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ঝালকাঠি নার্সিং কলেজে বদলি করেন। ২০২৩ সালের নভেম্বরে ছাত্রীদের নাম ভাঙ্গিয়ে ফেসবুকে কলেজের নামে বিভিন্ন রকম মিথ্যা এবং বানোয়াট তথ্য দিয়ে ছাত্রীদেরকে উস্কে দেয়। ছাত্রীদেরকে ভুল বুঝিয়ে আন্দোলনমুখি করেন। নার্স শিক্ষক হাসিনা তাজমিন ক্লাসের কোনো টপিক নিয়ে আলোচনা না  করে ছাত্রীদেরকে বিভিন্ন রকমের ভয়ভীতি দেখিয়ে অত্র কলেজে কর্মরত কর্মচারী এবং অধ্যক্ষের নামে কুরুচিপূর্ণ, অশ্লীল কথা বলেছে।

ছাত্রীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক ফেল করার ভয় দেখিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়েছে। যা ছাত্রীরা স্বীকার করেছে, হাসিনা তাজমিনের ভয়ে ছাত্রীরা সাদা কাগজে না বুঝে স্বাক্ষর করেছে। তার সাথে আরও কয়েকজন শিক্ষক জড়িত রয়েছে। হাসিনা তাজমিনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলেও তা সে গ্রহণ না করে অধ্যক্ষকে জীবননাশের হুমকি দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে নাসিং শিক্ষক হাসিনা তাজমিন বলেন, আমি কলেজের বিভিন্ন অসংগতি নিয়ে কথা বলায় আমার উপর কলেজ অধ্যক্ষ ও অফিস সহকারী ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে ফাঁসাতে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেছে।

ঝালকাঠি নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ গীতা রানী সমাদ্দারের কাছে হাসিনা তাজমিনের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাসিনা তাজমিন একজন উচ্ছৃঙ্খল। সে কারও কমান্ড মানে না। কোনো নিয়ম নীতির মধ্যে নেই। তার বিষয় মহাপরিচালক মহোদয়কে জানানো হয়েছে। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

অধ্যক্ষ-শিক্ষক দ্বন্দ্বে অচল অবস্থা ঝালকাঠি নার্সিং কলেজে

আপডেট সময় : ১০:৩৩:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪

ঝালকাঠি নার্সিং কলেজের শিক্ষকদের মাঝে বিরোধ চরম আকার ধারন করেছে। গত ২৭ জানুয়ারী কলেজের ইনস্ট্রাকটর হাসিনা তাজমিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মহাপরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ গীতা রানী সমদ্দার। এর জের ধরে হাসিনা তাজমিন ৩০ জানুয়ারী কলেজের অফিস সহকারী কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে ছাত্রী হয়রানি ও হোস্টেলে থাকাসহ বেশ কিছু অভিযোগে নার্সিং ও মিডওয়াইফারী অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

মূলত এরপরই শিক্ষকদের মধ্যে বিরোধ প্রকাশ্যে আসতে থাকে। তাদের এ বিরোধে নার্সিং শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করার অভিযোগও পাওয়া গেছে। ২০১৯ সালে ঝালকাঠি নার্সিং কলেজটির ভবন হস্তান্তর করা হলেও ২০২১ সালে অধ্যক্ষ ও ১জন কর্মচারী নিয়ে কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়।

কলেজ অধ্যক্ষ্যের নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করেন, চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারী নার্স শিক্ষক হাসিনা তাজমিন যোগদান করার পরই কলেজের দৃশ্যপট পরিবর্তন হয়ে যায়। তিনি যোগদান পরার পর থেকেই ছাত্রীদের এবং শিক্ষকদের মধ্যে বিভেদ তৈরি শুরু করেন। হাসিনা তাজমিন বরগুনা নার্সিং ইনস্টিটিউট এ কর্মরত থাকাকালীন সেখানকার নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ এর সাথে গণ্ডগোল করে খারাপ পরিস্থিতি সৃষ্টি করলে তখন নার্সিং মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ঝালকাঠি নার্সিং কলেজে বদলি করেন। ২০২৩ সালের নভেম্বরে ছাত্রীদের নাম ভাঙ্গিয়ে ফেসবুকে কলেজের নামে বিভিন্ন রকম মিথ্যা এবং বানোয়াট তথ্য দিয়ে ছাত্রীদেরকে উস্কে দেয়। ছাত্রীদেরকে ভুল বুঝিয়ে আন্দোলনমুখি করেন। নার্স শিক্ষক হাসিনা তাজমিন ক্লাসের কোনো টপিক নিয়ে আলোচনা না  করে ছাত্রীদেরকে বিভিন্ন রকমের ভয়ভীতি দেখিয়ে অত্র কলেজে কর্মরত কর্মচারী এবং অধ্যক্ষের নামে কুরুচিপূর্ণ, অশ্লীল কথা বলেছে।

ছাত্রীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক ফেল করার ভয় দেখিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়েছে। যা ছাত্রীরা স্বীকার করেছে, হাসিনা তাজমিনের ভয়ে ছাত্রীরা সাদা কাগজে না বুঝে স্বাক্ষর করেছে। তার সাথে আরও কয়েকজন শিক্ষক জড়িত রয়েছে। হাসিনা তাজমিনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলেও তা সে গ্রহণ না করে অধ্যক্ষকে জীবননাশের হুমকি দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে নাসিং শিক্ষক হাসিনা তাজমিন বলেন, আমি কলেজের বিভিন্ন অসংগতি নিয়ে কথা বলায় আমার উপর কলেজ অধ্যক্ষ ও অফিস সহকারী ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে ফাঁসাতে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেছে।

ঝালকাঠি নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ গীতা রানী সমাদ্দারের কাছে হাসিনা তাজমিনের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাসিনা তাজমিন একজন উচ্ছৃঙ্খল। সে কারও কমান্ড মানে না। কোনো নিয়ম নীতির মধ্যে নেই। তার বিষয় মহাপরিচালক মহোদয়কে জানানো হয়েছে। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।