ঢাকা ০৪:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইবির মেগাপ্রকল্পের কাজে ছয় কোটি টাকার ভুয়া বিল, তদন্তে দুদক

ইবির মেগাপ্রকল্পের কাজে ছয় কোটি টাকার ভুয়া বিল, তদন্তে দুদক

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ৫৩৭ কোটি টাকার মেগাপ্রকল্পের কাজের ৬ কোটি টাকার ভুয়া বিল উত্তোলন ও ভাগবাটোয়ারার অভিযোগ উঠেছে। গত বছরের নভেম্বরে বিশ্ববিদ্যারয় প্রশাসন, শিক্ষক সমিতি, শাপলা ফোরামসহ বিভিন্ন দফতরে এ সংক্রান্ত একটি বেনামি চিঠি আসে। বেনামি চিঠিতে আর্থিক সুবিধাভোগী ও সহযোগিতাকারী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প পরিচালক, সাবেক প্রধান প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, শাখা ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমানে পদে রয়েছেন এমন ৬ জন নেতাকর্মীর নাম ছিল।

একই অভিযোগ দায়ের করা হয় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে দুদক। এদিকে বিষয়টি নিয়ে গঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটিও অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে বলে জানা গেছে। সম্প্রতি দুদকের কুষ্টিয়া কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা সাইদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

দুদকের চিঠিতে অভিযোগের সংক্ষিপ্ত বিবরণ হিসেবে বলা হয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন তৃতীয় পর্যায় শীর্ষক প্রকল্পের দ্বিতীয় প্রশাসন ভবনের সর্বশেষ চলতি বিলে দুটি আইটেমে ভুয়া বিল প্রদান করে ৬ কোটি ২৫ লাখ ২০ হাজার ৭৬ টাকা উত্তোলন ও ভাগ বাটোয়ারা করে আত্মসাৎ ও অনিয়মের অভিযোগ।

 

অনুসন্ধানের স্বার্থে তদন্তকারী কর্মকর্তা বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত প্রতিবেদনসহ সংশ্লিষ্ট কাজের প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্রের সত্যায়িত মূলকপি আহ্বান করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে। তদন্ত প্রতিবেদন ব্যতীত অন্যান্য তথ্য পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে জানান রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান। তিনি বলেন, ‘যেসব তথ্য চেয়েছে সেগুলো পাঠিয়ে দিয়েছি। তবে তদন্ত প্রতিবেদন এখনও খোলা হয়নি। সিন্ডিকেট সভা ছাড়া সেটি খোলা যাবে না। তাই তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানো হয়নি।’

দুদকের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন, ‘আমাদের হেড অফিসে একটা অভিযোগ জমা পড়েছিল। সেই পরিপ্রেক্ষিতে হেড অফিস তদন্ত পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে কিছু তথ্য চাওয়া হয়েছিল তারা সেগুলো পাঠিয়েছে। তবে এখনও খুলে দেখতে পারিনি।’

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমরা সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। প্রতিবেদন সিন্ডিকেটে যাবে। তারপর যা ব্যবস্থা নেওয়ার, ওখান থেকেই নেওয়া হবে।’

 

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইবির মেগাপ্রকল্পের কাজে ছয় কোটি টাকার ভুয়া বিল, তদন্তে দুদক

আপডেট সময় : ০৮:২৩:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ মার্চ ২০২৪

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ৫৩৭ কোটি টাকার মেগাপ্রকল্পের কাজের ৬ কোটি টাকার ভুয়া বিল উত্তোলন ও ভাগবাটোয়ারার অভিযোগ উঠেছে। গত বছরের নভেম্বরে বিশ্ববিদ্যারয় প্রশাসন, শিক্ষক সমিতি, শাপলা ফোরামসহ বিভিন্ন দফতরে এ সংক্রান্ত একটি বেনামি চিঠি আসে। বেনামি চিঠিতে আর্থিক সুবিধাভোগী ও সহযোগিতাকারী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প পরিচালক, সাবেক প্রধান প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, শাখা ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমানে পদে রয়েছেন এমন ৬ জন নেতাকর্মীর নাম ছিল।

একই অভিযোগ দায়ের করা হয় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে দুদক। এদিকে বিষয়টি নিয়ে গঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটিও অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে বলে জানা গেছে। সম্প্রতি দুদকের কুষ্টিয়া কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা সাইদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

দুদকের চিঠিতে অভিযোগের সংক্ষিপ্ত বিবরণ হিসেবে বলা হয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন তৃতীয় পর্যায় শীর্ষক প্রকল্পের দ্বিতীয় প্রশাসন ভবনের সর্বশেষ চলতি বিলে দুটি আইটেমে ভুয়া বিল প্রদান করে ৬ কোটি ২৫ লাখ ২০ হাজার ৭৬ টাকা উত্তোলন ও ভাগ বাটোয়ারা করে আত্মসাৎ ও অনিয়মের অভিযোগ।

 

অনুসন্ধানের স্বার্থে তদন্তকারী কর্মকর্তা বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত প্রতিবেদনসহ সংশ্লিষ্ট কাজের প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্রের সত্যায়িত মূলকপি আহ্বান করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে। তদন্ত প্রতিবেদন ব্যতীত অন্যান্য তথ্য পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে জানান রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান। তিনি বলেন, ‘যেসব তথ্য চেয়েছে সেগুলো পাঠিয়ে দিয়েছি। তবে তদন্ত প্রতিবেদন এখনও খোলা হয়নি। সিন্ডিকেট সভা ছাড়া সেটি খোলা যাবে না। তাই তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানো হয়নি।’

দুদকের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন, ‘আমাদের হেড অফিসে একটা অভিযোগ জমা পড়েছিল। সেই পরিপ্রেক্ষিতে হেড অফিস তদন্ত পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে কিছু তথ্য চাওয়া হয়েছিল তারা সেগুলো পাঠিয়েছে। তবে এখনও খুলে দেখতে পারিনি।’

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমরা সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। প্রতিবেদন সিন্ডিকেটে যাবে। তারপর যা ব্যবস্থা নেওয়ার, ওখান থেকেই নেওয়া হবে।’