ঢাকা ১২:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
"গাজীপুর সিটি নির্বাচন-২৩" নগরীর একটি বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে লিফলেট তুলে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

আবারও আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খানের বিরুদ্ধে

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তপশিল ঘোষণার পর থেকেই নানাভাবে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠছে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খানের বিরুদ্ধে। আচরণবিধি না মানায় প্রার্থিতা বাতিল বা আইনানুগ ব্যবস্থা কেন নেওয়া হবে না—তা জানতে চেয়ে গত ৭ মে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) ডাকা হয়েছিল তাকে। সেদিন ঢাকায় নির্বাচন ভবনে এসে দুঃখ প্রকাশ করে প্রতিশ্রুতি দেন, ভবিষ্যতে আর এমন হবে না। তার সেই প্রতিশ্রুতিতে সন্তুষ্ট হয় ইসি। এরপরও আচরণবিধির তোয়াক্কা করছেন না এই মেয়র প্রার্থী। গতকাল রোববার সড়কের ওপর নির্বাচনী পথসভার আয়োজন করে আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, একই দিন তার কর্মী-সমর্থকরা গতকাল নগরীর একটি বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে লিফলেট তুলে দিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল গাজীপুর সিটির ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের শরীফপুর জিয়াশখান উচ্চ বিদ্যালয়ে যান আজমত উল্লা খানের সমর্থকরা। সেখানে ক্লাস চলাকালে শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে নৌকার লিফলেট বিতরণ করেন তারা। মসিউর রহমান নামে এক সমর্থক প্রচারণার সেই ছবি ফেসবুকে পোস্টও করেছেন। সেই ছবি ভাইরাল হলে বিষয়টি আলোচনায় আসে।
একাধিক ছবিতে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের মাঠে শিক্ষার্থীরা নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর নির্বাচনী লিফলেট ধরে দাঁড়িয়ে আছেন। এমনকি শ্রেণিকক্ষের ভেতরে অভিভাবকদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন কর্মী-সমর্থকরা। বেঞ্চে বসিয়ে তাদের হাতে নৌকার লিফলেট তুলে দিয়ে নিয়েছেন ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি।
জানা গেছে, বিদ্যালয়টির পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খান। তিনি মাঝেমধ্যেই সেখানে যান। আজ সোমবারও তার এই বিদ্যালয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।
গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির দপ্তর সেলের প্রধান সমন্বয়কারী আনোয়ার সাদাত সরকার বলেন, গতকাল পুবাইল ও মাজুখান এলাকায় নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছেন আজমত উল্লা খান। তবে তার বা তার সমর্থকদের ওই স্কুলে যাওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিমের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার স্ত্রী ফোনকলটি রিসিভ করে জানিয়েছেন, তিনি বাসায় মোবাইল রেখে বিদ্যালয়ে গেছেন।
গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ মোরাদ আলী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনোভাবেই কেউ নির্বাচনী প্রচার করতে পারে না। এমনটি হয়ে থাকলে তা অবশ্যই আচরণবিধির লঙ্ঘন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নজরে আনব।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোছাম্মৎ হাসিনা আক্তার বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আপনার কাছে শুনলাম। সোমবার এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিদ্যালয়ে গিয়ে নির্বাচনী প্রচারকে অনৈতিক ও অগ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে নির্বাচন বিশেষজ্ঞ আব্দুল আলীম বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস চলাকালীন কোনো প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচার চালানোর সুযোগ নেই। এটি সম্পূর্ণভাবে আচরণবিধির পরিপন্থি। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের নির্বাচনী কাজে ব্যবহার সম্পূর্ণ অনৈতিক ও অন্যায়। এতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নষ্ট হয়। এ ব্যাপারে ইসির এখনই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
সড়ক বন্ধ করে আজমত উল্লার পথসভা, ৩ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ: যানবাহন চলাচলে বিঘ্নিত হতে পারে বা জনভোগান্তি সৃষ্টি হতে পারে—এমন কোনো সড়কে পথসভা না করার নির্দেশনা রয়েছে নির্বাচনী আচরণবিধিতে। কিন্তু গতকাল সকালে গাজীপুর সিটি নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে এ নির্দেশনা লঙ্ঘন করেছেন নৌকার মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খান। নগরীর পুবাইল মাজুখান এলাকার একটি সড়কের ওপর পথসভা করেন তিনি। এতে প্রায় তিন ঘণ্টা বন্ধ থাকে যানবাহন ও পথচারীদের চলাচল।
সরেজমিন দেখা যায়, পুবাইলের মাজুখান এলাকা থেকে হারবাইদ নন্দীবাড়ি এলাকায় চলাচলের একমাত্র পথ মাজুখান-হারবাইদ সড়ক। এ সড়কের মুখেই আয়োজন করা হয় সেই পথসভার। সেখানে নৌকার প্রার্থী আজমত উল্লাসহ অতিথিদের বসার জন্য বসানো হয় বেশ কিছু চেয়ার। নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সড়কটি দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। সকাল ১১টা থেকে শুরু হওয়া পথসভা দুপুর পৌনে ২টার দিকে শেষ হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
অনেক কষ্টে সড়কটি পার হচ্ছিলেন রাবেয়া সুলতানা নামে এক নারী। নগরের মধ্যপাড়া এলাকার এ বাসিন্দা বলেন, এটাই তার বাসায় যাওয়ার একমাত্র রাস্তা। সকালেও রাস্তা পরিষ্কার দেখে বের হয়েছিলেন। বাসায় ফেরার পথে দেখেন এ অবস্থা। এখন ভিড় ঠেলে যাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
সড়ক বন্ধ করে পথসভার বিষয়ে আজমত উল্লা বলেন, ‘আমি কোনো সড়কে পথসভা করিনি। পথসভা হইছে সড়কের পাশে। আর আমি কোথাও গেলে এত মানুষজন আসে, তাতে আমার তো কিছু করার নাই। আমি বাসা থেকে একটা গাড়ি নিয়া বের হই, কিন্তু তারপরও মানুষে ভরে যায়।
নির্বাচনের প্রচার শুরুর আগেই আজমত উল্লার বিপক্ষে আচরণবিধি ভাঙার অভিযোগ এনেছিল ইসি। নিয়মের বাইরে অতিরিক্ত মানুষ নিয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে গিয়েছিলেন তিনি। এ ছাড়া প্রতীক বরাদ্দের আগেই ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল সভা করে নৌকার মেয়র প্রার্থীর পক্ষে ভোট চান। যেখানে প্রার্থী আজমত উল্লা খানও উপস্থিত ছিলেন। দুই দফা আচরণবিধি ভাঙার অভিযোগে আজমত উল্লাকে সশরীরে ডেকে পাঠায় ইসি।
এ বিষয়ে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখছি। প্রমাণ পাওয়া গেলে নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

"গাজীপুর সিটি নির্বাচন-২৩" নগরীর একটি বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে লিফলেট তুলে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

আবারও আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খানের বিরুদ্ধে

আপডেট সময় : ০৯:৪০:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ মে ২০২৩

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তপশিল ঘোষণার পর থেকেই নানাভাবে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠছে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খানের বিরুদ্ধে। আচরণবিধি না মানায় প্রার্থিতা বাতিল বা আইনানুগ ব্যবস্থা কেন নেওয়া হবে না—তা জানতে চেয়ে গত ৭ মে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) ডাকা হয়েছিল তাকে। সেদিন ঢাকায় নির্বাচন ভবনে এসে দুঃখ প্রকাশ করে প্রতিশ্রুতি দেন, ভবিষ্যতে আর এমন হবে না। তার সেই প্রতিশ্রুতিতে সন্তুষ্ট হয় ইসি। এরপরও আচরণবিধির তোয়াক্কা করছেন না এই মেয়র প্রার্থী। গতকাল রোববার সড়কের ওপর নির্বাচনী পথসভার আয়োজন করে আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, একই দিন তার কর্মী-সমর্থকরা গতকাল নগরীর একটি বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে লিফলেট তুলে দিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল গাজীপুর সিটির ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের শরীফপুর জিয়াশখান উচ্চ বিদ্যালয়ে যান আজমত উল্লা খানের সমর্থকরা। সেখানে ক্লাস চলাকালে শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে নৌকার লিফলেট বিতরণ করেন তারা। মসিউর রহমান নামে এক সমর্থক প্রচারণার সেই ছবি ফেসবুকে পোস্টও করেছেন। সেই ছবি ভাইরাল হলে বিষয়টি আলোচনায় আসে।
একাধিক ছবিতে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের মাঠে শিক্ষার্থীরা নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর নির্বাচনী লিফলেট ধরে দাঁড়িয়ে আছেন। এমনকি শ্রেণিকক্ষের ভেতরে অভিভাবকদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন কর্মী-সমর্থকরা। বেঞ্চে বসিয়ে তাদের হাতে নৌকার লিফলেট তুলে দিয়ে নিয়েছেন ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি।
জানা গেছে, বিদ্যালয়টির পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খান। তিনি মাঝেমধ্যেই সেখানে যান। আজ সোমবারও তার এই বিদ্যালয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।
গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির দপ্তর সেলের প্রধান সমন্বয়কারী আনোয়ার সাদাত সরকার বলেন, গতকাল পুবাইল ও মাজুখান এলাকায় নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছেন আজমত উল্লা খান। তবে তার বা তার সমর্থকদের ওই স্কুলে যাওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিমের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার স্ত্রী ফোনকলটি রিসিভ করে জানিয়েছেন, তিনি বাসায় মোবাইল রেখে বিদ্যালয়ে গেছেন।
গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ মোরাদ আলী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনোভাবেই কেউ নির্বাচনী প্রচার করতে পারে না। এমনটি হয়ে থাকলে তা অবশ্যই আচরণবিধির লঙ্ঘন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নজরে আনব।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোছাম্মৎ হাসিনা আক্তার বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আপনার কাছে শুনলাম। সোমবার এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিদ্যালয়ে গিয়ে নির্বাচনী প্রচারকে অনৈতিক ও অগ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে নির্বাচন বিশেষজ্ঞ আব্দুল আলীম বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস চলাকালীন কোনো প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচার চালানোর সুযোগ নেই। এটি সম্পূর্ণভাবে আচরণবিধির পরিপন্থি। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের নির্বাচনী কাজে ব্যবহার সম্পূর্ণ অনৈতিক ও অন্যায়। এতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নষ্ট হয়। এ ব্যাপারে ইসির এখনই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
সড়ক বন্ধ করে আজমত উল্লার পথসভা, ৩ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ: যানবাহন চলাচলে বিঘ্নিত হতে পারে বা জনভোগান্তি সৃষ্টি হতে পারে—এমন কোনো সড়কে পথসভা না করার নির্দেশনা রয়েছে নির্বাচনী আচরণবিধিতে। কিন্তু গতকাল সকালে গাজীপুর সিটি নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে এ নির্দেশনা লঙ্ঘন করেছেন নৌকার মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খান। নগরীর পুবাইল মাজুখান এলাকার একটি সড়কের ওপর পথসভা করেন তিনি। এতে প্রায় তিন ঘণ্টা বন্ধ থাকে যানবাহন ও পথচারীদের চলাচল।
সরেজমিন দেখা যায়, পুবাইলের মাজুখান এলাকা থেকে হারবাইদ নন্দীবাড়ি এলাকায় চলাচলের একমাত্র পথ মাজুখান-হারবাইদ সড়ক। এ সড়কের মুখেই আয়োজন করা হয় সেই পথসভার। সেখানে নৌকার প্রার্থী আজমত উল্লাসহ অতিথিদের বসার জন্য বসানো হয় বেশ কিছু চেয়ার। নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সড়কটি দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। সকাল ১১টা থেকে শুরু হওয়া পথসভা দুপুর পৌনে ২টার দিকে শেষ হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
অনেক কষ্টে সড়কটি পার হচ্ছিলেন রাবেয়া সুলতানা নামে এক নারী। নগরের মধ্যপাড়া এলাকার এ বাসিন্দা বলেন, এটাই তার বাসায় যাওয়ার একমাত্র রাস্তা। সকালেও রাস্তা পরিষ্কার দেখে বের হয়েছিলেন। বাসায় ফেরার পথে দেখেন এ অবস্থা। এখন ভিড় ঠেলে যাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
সড়ক বন্ধ করে পথসভার বিষয়ে আজমত উল্লা বলেন, ‘আমি কোনো সড়কে পথসভা করিনি। পথসভা হইছে সড়কের পাশে। আর আমি কোথাও গেলে এত মানুষজন আসে, তাতে আমার তো কিছু করার নাই। আমি বাসা থেকে একটা গাড়ি নিয়া বের হই, কিন্তু তারপরও মানুষে ভরে যায়।
নির্বাচনের প্রচার শুরুর আগেই আজমত উল্লার বিপক্ষে আচরণবিধি ভাঙার অভিযোগ এনেছিল ইসি। নিয়মের বাইরে অতিরিক্ত মানুষ নিয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে গিয়েছিলেন তিনি। এ ছাড়া প্রতীক বরাদ্দের আগেই ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল সভা করে নৌকার মেয়র প্রার্থীর পক্ষে ভোট চান। যেখানে প্রার্থী আজমত উল্লা খানও উপস্থিত ছিলেন। দুই দফা আচরণবিধি ভাঙার অভিযোগে আজমত উল্লাকে সশরীরে ডেকে পাঠায় ইসি।
এ বিষয়ে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখছি। প্রমাণ পাওয়া গেলে নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।