ঢাকা ০২:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এশিয়ায় বেড়েছে রুশ জ্বালানি পণ্যের রপ্তানি

তাপপ্রবাহের কারণে এশিয়ায় রাশিয়ার জ্বালানি রপ্তানি রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। মূল্য ছাড়ের কারণে এশিয়া রাশিয়ার কয়লা ও জ্বালানি তেলের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। রাশিয়া ও চীনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ চলতি বছর একটি মাইলফলক অর্জনের পথে রয়েছে।
মস্কোর পূর্বাভাস, ২০২৩ সালে দুই দেশের বাণিজ্য ২০ হাজার কোটি ডলারে পৌঁছাবে।
পুরো এশিয়ায় চলছে তীব্র তাপদাহ। বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো সচল রাখতে বেড়েছে জ্বালানির উৎপাদন ও ব্যবহার।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী, এশিয়া গত কয়েক সপ্তাহে রাশিয়া থেকে জ্বালানি আমদানি বাড়িয়েছে। শুধুমাত্র এপ্রিলেই মস্কো থেকে ৭.৪ মিলিয়ন টন কয়লা আমদানি করা হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় তিনগুণ বেশি। এশিয়া গত দুই মাসে পাওয়ার গ্রিডে ব্যবহারের জন্য রেকর্ড জ্বালানি তেল আমদানি করেছে।
এপ্রিলে রাশিয়ার বৃহত্তম জ্বালানি ক্রেতা দেশ ছিলো ভারত ও চীন। দেশটির মোট রফতানির দুই তৃতীয়াংশ কয়লাই গেছে এশিয়ায়।
যদিও মূল্যছাড়ের কারণে গত বছর থেকেই রাশিয়া থেকে জ্বালানি আমদানি বাড়িয়েছে এশিয়া। রাশিয়ার কয়লার উল্লেখযোগ্য ক্রেতাদেশ দক্ষিণ কোরিয়া, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া আর শ্রীলঙ্কাও।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই অঞ্চলে আরও বাড়বে জ্বালানি আমদানির পরিমাণ।
জ্বালানি বিশ্লেষকরা বলছেন, দক্ষিণ এশিয়ার দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক কূটনীতির চেয়ে মানুষের মৌলিক চাহিদার দিকে নজর দেওয়া জরুরি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে চুক্তি করার চেয়ে রাশিয়ার ছাড় গ্রহণ করা তাদের পক্ষে অনেক সহজ।
এদিকে, চলতি বছরই রেকর্ড ছাড়াবে রাশিয়ার সঙ্গে চীনের বৈদেশিক বাণিজ্যের পরিমাণ। এমন পূর্বাভাস দিয়েছে রাশিয়া।
রাশিয়ার সরকার বলছে, বছরের প্রথম প্রান্তিকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বেড়েছে ৫ হাজার ২০০ মিলিয়ন ডলার। ২০২২ সালে, এটি ১৮ হাজার ৫০০ বিলিয়ন ডলার হবে, তবে ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ এই সংখ্যা ২০ হাজার বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে।
পরিসংখ্যান বলছে, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার পরও রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ছে চীনের। রাশিয়ার জ্বালানি তেলের বড় ক্রেতা দেশ চীন। মূল্যছাড়ে আরও চাঙ্গা হয়েছে দুই দেশের বাণিজ্য।
সমুদ্রপথে চীনে রাশিয়ার অপরিশোধিত জ্বালানি রফতানি রেকর্ড ছাড়িয়েছে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

এশিয়ায় বেড়েছে রুশ জ্বালানি পণ্যের রপ্তানি

আপডেট সময় : ০৮:৫৪:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩

তাপপ্রবাহের কারণে এশিয়ায় রাশিয়ার জ্বালানি রপ্তানি রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। মূল্য ছাড়ের কারণে এশিয়া রাশিয়ার কয়লা ও জ্বালানি তেলের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। রাশিয়া ও চীনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ চলতি বছর একটি মাইলফলক অর্জনের পথে রয়েছে।
মস্কোর পূর্বাভাস, ২০২৩ সালে দুই দেশের বাণিজ্য ২০ হাজার কোটি ডলারে পৌঁছাবে।
পুরো এশিয়ায় চলছে তীব্র তাপদাহ। বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো সচল রাখতে বেড়েছে জ্বালানির উৎপাদন ও ব্যবহার।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী, এশিয়া গত কয়েক সপ্তাহে রাশিয়া থেকে জ্বালানি আমদানি বাড়িয়েছে। শুধুমাত্র এপ্রিলেই মস্কো থেকে ৭.৪ মিলিয়ন টন কয়লা আমদানি করা হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় তিনগুণ বেশি। এশিয়া গত দুই মাসে পাওয়ার গ্রিডে ব্যবহারের জন্য রেকর্ড জ্বালানি তেল আমদানি করেছে।
এপ্রিলে রাশিয়ার বৃহত্তম জ্বালানি ক্রেতা দেশ ছিলো ভারত ও চীন। দেশটির মোট রফতানির দুই তৃতীয়াংশ কয়লাই গেছে এশিয়ায়।
যদিও মূল্যছাড়ের কারণে গত বছর থেকেই রাশিয়া থেকে জ্বালানি আমদানি বাড়িয়েছে এশিয়া। রাশিয়ার কয়লার উল্লেখযোগ্য ক্রেতাদেশ দক্ষিণ কোরিয়া, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া আর শ্রীলঙ্কাও।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই অঞ্চলে আরও বাড়বে জ্বালানি আমদানির পরিমাণ।
জ্বালানি বিশ্লেষকরা বলছেন, দক্ষিণ এশিয়ার দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক কূটনীতির চেয়ে মানুষের মৌলিক চাহিদার দিকে নজর দেওয়া জরুরি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে চুক্তি করার চেয়ে রাশিয়ার ছাড় গ্রহণ করা তাদের পক্ষে অনেক সহজ।
এদিকে, চলতি বছরই রেকর্ড ছাড়াবে রাশিয়ার সঙ্গে চীনের বৈদেশিক বাণিজ্যের পরিমাণ। এমন পূর্বাভাস দিয়েছে রাশিয়া।
রাশিয়ার সরকার বলছে, বছরের প্রথম প্রান্তিকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বেড়েছে ৫ হাজার ২০০ মিলিয়ন ডলার। ২০২২ সালে, এটি ১৮ হাজার ৫০০ বিলিয়ন ডলার হবে, তবে ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ এই সংখ্যা ২০ হাজার বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে।
পরিসংখ্যান বলছে, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার পরও রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ছে চীনের। রাশিয়ার জ্বালানি তেলের বড় ক্রেতা দেশ চীন। মূল্যছাড়ে আরও চাঙ্গা হয়েছে দুই দেশের বাণিজ্য।
সমুদ্রপথে চীনে রাশিয়ার অপরিশোধিত জ্বালানি রফতানি রেকর্ড ছাড়িয়েছে।