ঢাকা ০৩:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গার খাদিমপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সাক্ষী দেওয়ার অপরাধে বৃদ্ধাকে কুপিয়ে জখম, অভিযুক্ত অপরাধী আটক।

চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদিমপুর ইউনিয়নের খাদিমপুর গ্রামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সাক্ষী দেওয়ায় ইশা খাতুন (৫৫) নামে এক বৃদ্ধাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল ২২ সে মে সোমবার রাত ১০টার দিকে খাদিমপুর ইউনিয়নের শিয়ালমারি গ্রামের নিজ বাড়ির সামনে রাস্তার উপর বৃদ্ধাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেছে একই গ্রামের জিন্নাহ আলী বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

জানা গেছে, আহত ইশা খাতুন আলমডাঙ্গা উপজেলার শিয়ালমারি গ্রামের উত্তরপাড়ার ফজলুর স্ত্রী। অভিযুক্ত জিন্নাহ আলী একই গ্রামের মৃত শামসুদ্দিন মণ্ডলের ছেলে। হামলার পর আরেক প্রতিবেশী রনি বৃদ্ধাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। বৃদ্ধার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ঘটনার পরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত জিন্নাহ আলীকে আটক করে থানা হেফাজতে নিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ।

খাদিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোজাহিদুর রহমান জোয়ার্দ্দার বলেন, গত ১৩ এপ্রিল উপজেলার খাদিমপুর ইউনিয়নে ফসলী মাঠে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই সময় জিন্নাহ আলীর নিজের ভুট্টা খেতে আগুন দিলে সেই আগুনে ইউনিয়নের প্রায় সাড়ে ৩০০ বিঘা জমির ভুট্টা ও পানবরজ পুড়ে যায়। জিন্নাহ আলীর ভুট্টাখেতে দেওয়া আগুন আশপাশের ফসলি মাঠে ছড়িয়ে পড়লে এ ঘটনা ঘছে বলে বৃদ্ধা ইশা সাক্ষী দেন। এতে জিন্নাহ আলীকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এরই জের ধরে তাকে নির্মমভাবে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেছে বলে জানায় বৃদ্ধা ইশা খাতুন। তবে লোকমুখে শোনা যাচ্ছে, গতকাল ওই বৃদ্ধা জিন্নাহ আলীকে গালিগালাজ করছিলো । তারই ধারাবাহিকতায় পূর্বের জমে থাকা রাগের কারণে কুপিয়ে জখম করেছে। তবে পুলিশের তদন্তেই প্রকৃত ঘটনা বের হবে বলে মনে করছে সচেতন মহল।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আব্দুল কাদের বলেন, ওই নারীর হাত, পিঠ সহ শরীরের বিভিন্নস্থানে ধারাল অস্ত্রের আঘাতে জখম হয়েছে। ক্ষতস্থানে অসংখ্য সেলায় দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

ওসি বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, ঘটনার পর আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় অভিযুক্ত জিন্নাহ আলীকে। বৃদ্ধা ইশা খাতুন জানিয়েছেন, কিছুদিন আগে খাদিমপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সাক্ষী দেন এই বৃদ্ধা। এ কারণে জিন্নাহকে জরিমানা করা হয়েছি। সেই ক্ষোভ থেকেই বৃদ্ধাকে কুপিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কুষ্টিয়ায় নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মায়ের বয়সী বৃদ্ধাকে এভাবে কুপিয়ে ন্যাক্কার জনক কাজ করেছে জিন্নাহ সুষ্ঠু তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী এলাকাবাসীর।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চুয়াডাঙ্গার খাদিমপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সাক্ষী দেওয়ার অপরাধে বৃদ্ধাকে কুপিয়ে জখম, অভিযুক্ত অপরাধী আটক।

আপডেট সময় : ০৩:০৪:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩

চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদিমপুর ইউনিয়নের খাদিমপুর গ্রামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সাক্ষী দেওয়ায় ইশা খাতুন (৫৫) নামে এক বৃদ্ধাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল ২২ সে মে সোমবার রাত ১০টার দিকে খাদিমপুর ইউনিয়নের শিয়ালমারি গ্রামের নিজ বাড়ির সামনে রাস্তার উপর বৃদ্ধাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেছে একই গ্রামের জিন্নাহ আলী বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

জানা গেছে, আহত ইশা খাতুন আলমডাঙ্গা উপজেলার শিয়ালমারি গ্রামের উত্তরপাড়ার ফজলুর স্ত্রী। অভিযুক্ত জিন্নাহ আলী একই গ্রামের মৃত শামসুদ্দিন মণ্ডলের ছেলে। হামলার পর আরেক প্রতিবেশী রনি বৃদ্ধাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। বৃদ্ধার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ঘটনার পরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত জিন্নাহ আলীকে আটক করে থানা হেফাজতে নিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ।

খাদিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোজাহিদুর রহমান জোয়ার্দ্দার বলেন, গত ১৩ এপ্রিল উপজেলার খাদিমপুর ইউনিয়নে ফসলী মাঠে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই সময় জিন্নাহ আলীর নিজের ভুট্টা খেতে আগুন দিলে সেই আগুনে ইউনিয়নের প্রায় সাড়ে ৩০০ বিঘা জমির ভুট্টা ও পানবরজ পুড়ে যায়। জিন্নাহ আলীর ভুট্টাখেতে দেওয়া আগুন আশপাশের ফসলি মাঠে ছড়িয়ে পড়লে এ ঘটনা ঘছে বলে বৃদ্ধা ইশা সাক্ষী দেন। এতে জিন্নাহ আলীকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এরই জের ধরে তাকে নির্মমভাবে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেছে বলে জানায় বৃদ্ধা ইশা খাতুন। তবে লোকমুখে শোনা যাচ্ছে, গতকাল ওই বৃদ্ধা জিন্নাহ আলীকে গালিগালাজ করছিলো । তারই ধারাবাহিকতায় পূর্বের জমে থাকা রাগের কারণে কুপিয়ে জখম করেছে। তবে পুলিশের তদন্তেই প্রকৃত ঘটনা বের হবে বলে মনে করছে সচেতন মহল।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আব্দুল কাদের বলেন, ওই নারীর হাত, পিঠ সহ শরীরের বিভিন্নস্থানে ধারাল অস্ত্রের আঘাতে জখম হয়েছে। ক্ষতস্থানে অসংখ্য সেলায় দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

ওসি বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, ঘটনার পর আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় অভিযুক্ত জিন্নাহ আলীকে। বৃদ্ধা ইশা খাতুন জানিয়েছেন, কিছুদিন আগে খাদিমপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সাক্ষী দেন এই বৃদ্ধা। এ কারণে জিন্নাহকে জরিমানা করা হয়েছি। সেই ক্ষোভ থেকেই বৃদ্ধাকে কুপিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কুষ্টিয়ায় নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মায়ের বয়সী বৃদ্ধাকে এভাবে কুপিয়ে ন্যাক্কার জনক কাজ করেছে জিন্নাহ সুষ্ঠু তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী এলাকাবাসীর।