ঢাকা ০৪:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধুনটে এইচএসসি পরীক্ষায় যে কলেজে সবাই ফেল

সুমন হোসেন, ধুনট প্রতিনিধি:

বগুড়ার ধুনট উপজেলার বিশ্বহরিগাছা বহালগাছা বহুমুখী মহাবিদ্যালয়। ১৯৯৯ সালে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৬ সালে পাঠদানের অনুমতি পায় প্রতিষ্ঠানটি। ২০১৯ থেকে এই কলেজের শিক্ষার্থীরা অব্যহত ভাবে সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে আসছে।

গত ২০২২ইং সালে রাজশাহী শিক্ষবোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষায় বিশ্বহরিগাছা বহালগাছা বহুমুখী মহাবিদ্যালয় থেকে ৬জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করে। ৮ই ফেব্রুয়ারি বুধবার দুপুরে এইচএসসি ফল প্রকাশ হয়। বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আরিফুল ইসলামের স্বাক্ষরিত ফলাফলের তালিকা থেকে জানা যায় ওই প্রতিষ্ঠান হতে অংশগ্রহনকারী পরীক্ষার্থীরা সবাই অকৃতকার্য হয়েছে। অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীরা সবাই ইংরেজি বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে বলে এক তথ্যে জানা যায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই মহাবিদ্যালয়ের এক শিক্ষক জানান, কলেজে অগোছালো পাঠদানসহ প্রতিষ্ঠানে রয়েছে শিক্ষক স্বল্পতাও। এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির এখনো একাডেমিক স্বীকৃতি না পাওয়ায় পাঠদানে শিক্ষকদের আগ্রহ কমে যাওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। করোনা কালিন সময়ে বিঘ্নতা মহাবিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীদের ফলাফল বিপর্যয়ের একটি কারন। অনলাইন ক্লাসের অভাবকে দায়ী করেন ওই শিক্ষক।

মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, আগের ৩টি বছরে পরীক্ষায় মহাবিদ্যালয়টি ভাল অবস্থানে ছিলো। গত ২০২১ সালে অংশ নেওয়া ২৩ জন পরীক্ষার্থীর সবাই পাশ করেছিল এবং একজন জিপিএ-৫ পেয়েছিল। তবে এবারের ফলাফলে আমরা সত্যিই মর্মাহত। প্রয়োজনে বোর্ড বরাবর ফলাফল চ্যালেঞ্জ করবো।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ধুনটে এইচএসসি পরীক্ষায় যে কলেজে সবাই ফেল

আপডেট সময় : ১০:০৪:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

সুমন হোসেন, ধুনট প্রতিনিধি:

বগুড়ার ধুনট উপজেলার বিশ্বহরিগাছা বহালগাছা বহুমুখী মহাবিদ্যালয়। ১৯৯৯ সালে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৬ সালে পাঠদানের অনুমতি পায় প্রতিষ্ঠানটি। ২০১৯ থেকে এই কলেজের শিক্ষার্থীরা অব্যহত ভাবে সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে আসছে।

গত ২০২২ইং সালে রাজশাহী শিক্ষবোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষায় বিশ্বহরিগাছা বহালগাছা বহুমুখী মহাবিদ্যালয় থেকে ৬জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করে। ৮ই ফেব্রুয়ারি বুধবার দুপুরে এইচএসসি ফল প্রকাশ হয়। বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আরিফুল ইসলামের স্বাক্ষরিত ফলাফলের তালিকা থেকে জানা যায় ওই প্রতিষ্ঠান হতে অংশগ্রহনকারী পরীক্ষার্থীরা সবাই অকৃতকার্য হয়েছে। অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীরা সবাই ইংরেজি বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে বলে এক তথ্যে জানা যায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই মহাবিদ্যালয়ের এক শিক্ষক জানান, কলেজে অগোছালো পাঠদানসহ প্রতিষ্ঠানে রয়েছে শিক্ষক স্বল্পতাও। এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির এখনো একাডেমিক স্বীকৃতি না পাওয়ায় পাঠদানে শিক্ষকদের আগ্রহ কমে যাওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। করোনা কালিন সময়ে বিঘ্নতা মহাবিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীদের ফলাফল বিপর্যয়ের একটি কারন। অনলাইন ক্লাসের অভাবকে দায়ী করেন ওই শিক্ষক।

মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, আগের ৩টি বছরে পরীক্ষায় মহাবিদ্যালয়টি ভাল অবস্থানে ছিলো। গত ২০২১ সালে অংশ নেওয়া ২৩ জন পরীক্ষার্থীর সবাই পাশ করেছিল এবং একজন জিপিএ-৫ পেয়েছিল। তবে এবারের ফলাফলে আমরা সত্যিই মর্মাহত। প্রয়োজনে বোর্ড বরাবর ফলাফল চ্যালেঞ্জ করবো।