ঢাকা ১০:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সমকামিতা কোনও ধর্মগ্রন্থে নেই: পুতিন

সমকামিতা বিশ্বজুড়ে এখন অন্যতম আলোচনার বিষয়। পশ্চিমা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এটিকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে এই বিষয়ে ব্যাপক কঠোর রাশিয়া। সম্প্রতি সমকামিতার বিরুদ্ধে একটি আইনে স্বাক্ষর করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গতকাল মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণেও এ বিষয়ে কঠোর বার্তা দিয়েছেন তিনি।
পারিবারিক জীবনে সমকামিতার কোনও স্থান নেই জানিয়ে পুতিন বলেন,’পরিবার বলতে বোঝায় একজন নারী এবং একজন পুরুষের মধ্যে মিলন।
কোনও ধর্মগ্রন্থে সমকামিতার বিষয়টি নেই, বরং নারী-পুরুষ মিলেই পরিবারের বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে বলেও ভাষণে বলেন পুতিন। তিনি বলেন, নারী-পুরুষের মিলনে পরিবারের বিষয়টি পৃথিবীর সব ধর্মের পবিত্র গ্রন্থেও লেখা আছে। কিন্তু পশ্চিমারা এসব পবিত্র গ্রন্থ নিয়ে প্রশ্ন তোলে- আমাদের সন্তানদের এই অবক্ষয় থেকে রক্ষা করতে হবে এবং আমরা সেটা করব।
গত ডিসেম্বরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সমকামিতার বিরুদ্ধে একটি আইনে স্বাক্ষর করেন। ওই আইনের মাধ্যমে রাশিয়ায় সমকামিতার পক্ষে সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা, আচার-আচরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
নতুন আইন অনুযায়ী- সমকামিতার পক্ষে প্রকাশ্যে, অনলাইনে, চলচ্চিত্রে, বইয়ে এবং বিজ্ঞাপনে কোনও কিছু প্রকাশ করা হলে, দেখানো হলে এবং লেখা হলে তা সমকামিতার প্রচার-প্রচারণা এবং অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।
এসব অপরাধে জড়িতদের মোটা অংকের অর্থ জরিমানা করা হবে। এর আগে শিশুদের সামনে সমকামিতার প্রচার-প্রচারণা নিষিদ্ধ ছিল রাশিয়ায়। এখন এই আইনটি আরও কঠোর করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট পুতিন রাশিয়ার পার্লামেন্টে দেয়া তার ‘স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন’ ভাষণে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরতে গিয়ে তীব্র ভাষায় পশ্চিমা দেশগুলোর সমালোচনা করেছেন। এই ভাষণে প্রেসিডেন্ট পুতিন ঘোষণা করেন যে, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি বড় অস্ত্র সীমিতকরণ চুক্তিতে অংশগ্রহণ স্থগিত রাখছেন।
যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার মধ্যে ‘নিউ স্টার্ট’ নামের এই চুক্তিটিই একমাত্র পরমাণু অস্ত্র সীমিতকরণ চুক্তি, যা এখন বহাল আছে। ২০২১ সালে এটির মেয়াদ ৫ বছরের জন্য বাড়ানো হয়েছিল।
এই সংঘাতের জন্যপশ্চিমা দেশগুলোকে দায়ী করে পুতিন বলেন, ইউক্রেনকে তারা ‘রুশ-বিরোধী’ দেশে পরিণত করতে চাইছে। তিনি আরও বলেছেন, রাশিয়ার অস্তিত্ব সংকটের মুখে।
প্রেসিডেন্ট পুতিন এই ভাষণ দিলেন ইউক্রেন যুদ্ধের প্রথম বার্ষিকীর ক’দিন আগে। গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা করে রাশিয়া।
তবে জাতির উদ্দেশে দেওয়া রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ভাষণ প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন।
সূত্র: বিবিসি

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সমকামিতা কোনও ধর্মগ্রন্থে নেই: পুতিন

আপডেট সময় : ১০:১২:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

সমকামিতা বিশ্বজুড়ে এখন অন্যতম আলোচনার বিষয়। পশ্চিমা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এটিকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে এই বিষয়ে ব্যাপক কঠোর রাশিয়া। সম্প্রতি সমকামিতার বিরুদ্ধে একটি আইনে স্বাক্ষর করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গতকাল মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণেও এ বিষয়ে কঠোর বার্তা দিয়েছেন তিনি।
পারিবারিক জীবনে সমকামিতার কোনও স্থান নেই জানিয়ে পুতিন বলেন,’পরিবার বলতে বোঝায় একজন নারী এবং একজন পুরুষের মধ্যে মিলন।
কোনও ধর্মগ্রন্থে সমকামিতার বিষয়টি নেই, বরং নারী-পুরুষ মিলেই পরিবারের বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে বলেও ভাষণে বলেন পুতিন। তিনি বলেন, নারী-পুরুষের মিলনে পরিবারের বিষয়টি পৃথিবীর সব ধর্মের পবিত্র গ্রন্থেও লেখা আছে। কিন্তু পশ্চিমারা এসব পবিত্র গ্রন্থ নিয়ে প্রশ্ন তোলে- আমাদের সন্তানদের এই অবক্ষয় থেকে রক্ষা করতে হবে এবং আমরা সেটা করব।
গত ডিসেম্বরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সমকামিতার বিরুদ্ধে একটি আইনে স্বাক্ষর করেন। ওই আইনের মাধ্যমে রাশিয়ায় সমকামিতার পক্ষে সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা, আচার-আচরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
নতুন আইন অনুযায়ী- সমকামিতার পক্ষে প্রকাশ্যে, অনলাইনে, চলচ্চিত্রে, বইয়ে এবং বিজ্ঞাপনে কোনও কিছু প্রকাশ করা হলে, দেখানো হলে এবং লেখা হলে তা সমকামিতার প্রচার-প্রচারণা এবং অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।
এসব অপরাধে জড়িতদের মোটা অংকের অর্থ জরিমানা করা হবে। এর আগে শিশুদের সামনে সমকামিতার প্রচার-প্রচারণা নিষিদ্ধ ছিল রাশিয়ায়। এখন এই আইনটি আরও কঠোর করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট পুতিন রাশিয়ার পার্লামেন্টে দেয়া তার ‘স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন’ ভাষণে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরতে গিয়ে তীব্র ভাষায় পশ্চিমা দেশগুলোর সমালোচনা করেছেন। এই ভাষণে প্রেসিডেন্ট পুতিন ঘোষণা করেন যে, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি বড় অস্ত্র সীমিতকরণ চুক্তিতে অংশগ্রহণ স্থগিত রাখছেন।
যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার মধ্যে ‘নিউ স্টার্ট’ নামের এই চুক্তিটিই একমাত্র পরমাণু অস্ত্র সীমিতকরণ চুক্তি, যা এখন বহাল আছে। ২০২১ সালে এটির মেয়াদ ৫ বছরের জন্য বাড়ানো হয়েছিল।
এই সংঘাতের জন্যপশ্চিমা দেশগুলোকে দায়ী করে পুতিন বলেন, ইউক্রেনকে তারা ‘রুশ-বিরোধী’ দেশে পরিণত করতে চাইছে। তিনি আরও বলেছেন, রাশিয়ার অস্তিত্ব সংকটের মুখে।
প্রেসিডেন্ট পুতিন এই ভাষণ দিলেন ইউক্রেন যুদ্ধের প্রথম বার্ষিকীর ক’দিন আগে। গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা করে রাশিয়া।
তবে জাতির উদ্দেশে দেওয়া রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ভাষণ প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন।
সূত্র: বিবিসি