ঢাকা ০৯:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কিয়ামতের দিন আরশের ছায়ায় জায়গা পাবেন যারা

মৃত্যুর পর সবার বিচার করবেন সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ তায়ালা। দুনিয়ায় করে যাওয়া ভালো কাজের পুরস্কার ও মন্দ কাজের পরিনাম মানুষকে ভোগ করতে হবে। দুনিয়ার ছোট্ট একটি ভালো কাজের ফল সেদিন যেমন মিলবে, তেমনি ছোট্ট একটি খারাপ কাজেরও ফল ভোগ করতে হবে।
কিয়ামতের সেই কঠিন দিনে আল্লাহ ছাড়া আর কারও কোনো ক্ষমতা থাকবে না। দুনিয়ায় ভালো কাজের মাধ্যমে সেই ভয়াবহ দিনে আল্লাহর আরশে ছায়ার নিচে সাত ধরনের মানুষের জায়গা হবে।
আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, সাত শ্রেণির মানুষকে সেদিন আল্লাহ তার আরশের ছায়াতলে স্থান দেবেন, যেদিন তার ছায়া ব্যতীত আর কোনো ছায়া থাকবে না। ১. ন্যায়পরায়ণ ইমাম বা শাসক। ২. মহান ও পরাক্রমশালী আল্লাহর ইবাদতে মশগুল যুবক। ৩. মসজিদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হৃদয়ের অধিকারী ব্যক্তি। ৪. এমন দুজন ব্যক্তি যারা একমাত্র আল্লাহর জন্যই পরস্পরকে ভালোবাসে। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তারা বন্ধুত্ব করে আবার আল্লাহর জন্যই বিচ্ছিন্ন হয়। ৫. সেই ব্যক্তি যাকে কোনো সুন্দরী (ব্যভিচারের উদ্দেশ্যে) আহ্বান করে, কিন্তু সে বলে, ‘আমি আল্লাহকে ভয় করি’। ৬. যে ব্যক্তি অত্যন্ত গোপনে দান করে, এমনকি তার ডান হাত কী দান করে, তা তার বাম হাতও জানতে পারে না। ৭. যে নির্জনে আল্লাহকে স্মরণ করে, ফলে তার উভয় চোখে পানি বয়ে যায়। (বুখারী ও মুসলিম)

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কিয়ামতের দিন আরশের ছায়ায় জায়গা পাবেন যারা

আপডেট সময় : ১০:৪৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

মৃত্যুর পর সবার বিচার করবেন সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ তায়ালা। দুনিয়ায় করে যাওয়া ভালো কাজের পুরস্কার ও মন্দ কাজের পরিনাম মানুষকে ভোগ করতে হবে। দুনিয়ার ছোট্ট একটি ভালো কাজের ফল সেদিন যেমন মিলবে, তেমনি ছোট্ট একটি খারাপ কাজেরও ফল ভোগ করতে হবে।
কিয়ামতের সেই কঠিন দিনে আল্লাহ ছাড়া আর কারও কোনো ক্ষমতা থাকবে না। দুনিয়ায় ভালো কাজের মাধ্যমে সেই ভয়াবহ দিনে আল্লাহর আরশে ছায়ার নিচে সাত ধরনের মানুষের জায়গা হবে।
আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, সাত শ্রেণির মানুষকে সেদিন আল্লাহ তার আরশের ছায়াতলে স্থান দেবেন, যেদিন তার ছায়া ব্যতীত আর কোনো ছায়া থাকবে না। ১. ন্যায়পরায়ণ ইমাম বা শাসক। ২. মহান ও পরাক্রমশালী আল্লাহর ইবাদতে মশগুল যুবক। ৩. মসজিদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হৃদয়ের অধিকারী ব্যক্তি। ৪. এমন দুজন ব্যক্তি যারা একমাত্র আল্লাহর জন্যই পরস্পরকে ভালোবাসে। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তারা বন্ধুত্ব করে আবার আল্লাহর জন্যই বিচ্ছিন্ন হয়। ৫. সেই ব্যক্তি যাকে কোনো সুন্দরী (ব্যভিচারের উদ্দেশ্যে) আহ্বান করে, কিন্তু সে বলে, ‘আমি আল্লাহকে ভয় করি’। ৬. যে ব্যক্তি অত্যন্ত গোপনে দান করে, এমনকি তার ডান হাত কী দান করে, তা তার বাম হাতও জানতে পারে না। ৭. যে নির্জনে আল্লাহকে স্মরণ করে, ফলে তার উভয় চোখে পানি বয়ে যায়। (বুখারী ও মুসলিম)