ঢাকা ০৮:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছুটির দিনে জমে উঠেছে অমর একুশে বইমেলা

ছুটির দিনে জমে উঠেছে অমর একুশে বইমেলা। মেলার ১৭তম দিন আজ (শুক্রবার) অন্যান্য দিনের তুলনায় ক্রেতাদের বেশি উপস্থিতি দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন মেলার স্টলের বিক্রেতারা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মেলা স্টল-প্যাভিলিয়নগুলোতেও বেড়েছে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড়। বিশেষ করে শিশুদের আগমনে ফিরেছে বইমেলার উচ্ছ্বাস। পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে অনেকেই উপস্থিত হতে দেখা যাচ্ছে এ মেলায়।
নয়াপল্টন থেকে আসা দর্শনার্থী আবু হাসান বলেন, প্রতি বছরই মেলায় আসা হয়। আজকেও এসেছি বই কেনার জন্য। তিনি আরো বলেন, ঢাকায় আমরা যারা পড়ালেখা করছি এই মেলার মাধ্যমে সবাই এক সঙ্গে হবো, মেলাও ঘুরে দেখা হলো। সঙ্গে বইও কেনা হলো। প্রাণের এ বই মেলায় বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হবে এটাও কম পাওয়া নয়।
ফার্মগেট থেকে আসা দর্শনার্থী আকিক হোসেন বলেন, বাবাকে নিয়ে বই মেলায় এসেছি। আমার ঘুরতে ভালো লাগে, তাই মেলায় ঘুরতে এসেছি। আজকে অনেক বই কিনব।
কলি প্রকাশনী থেকে বই কিনতে দেখা যায় আঞ্জুমান রোজীকে। তার সঙ্গে ছিলেন ছোট দুই ছেলে-মেয়ে। তিনি বলেন, আমার দুই সন্তানকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছি। বাচ্চাদের বিভিন্ন বইয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি। সারা দিন ঘরবন্দি থেকে মেলায় এসে বাচ্চারা আনন্দ উৎসবে মেতেছে।
বই বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন বলেন, মাশাল্লাহ আজকে ভালোই ক্রেতা রয়েছে। ক্রেতারা আগে থেকেই বইয়ের নাম ও লেখকের নাম নিয়ে আসেন। এতে স্টল বা প্যাভিলিয়নগুলোতে বেশি ভিড় দেখা যায় না। একটা বই কিনতে এসে যদি অন্য বই ভালো লাগে তাহলে সঙ্গে আরো দুই- একটি বই কেনেন।
রোকসানা আখতার নামে আরেক বই বিক্রেতা বলেন, আজ ক্রেতাদের উপস্থিতি ভালোই। সবাই তো বই কিনতে আসে না, অনেকেই ঘুরতে আসে। সবাই যদি বই কিনতেন তাহলে বই বিক্রি কয়েকগুণ বেড়ে যেত। গত কয়েক দিনের তুলনায় আজকে একটু বেশি বই বিক্রি হচ্ছে।
জানা গেছে, আজ ছুটির দিন হওয়ায় মেলা শুরু হয়েছে বেলা ১১টায়। চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলবে। তাই আজ সকাল থেকে শুরু হয়েছে বইপ্রেমীদের আনাগোনা। স্টলে স্টলে ঘুরে বইয়ের মলাট উল্টে দেখে কিনে সুন্দর সময় পার করছেন তারা।
প্রতিবছরের মতো এবারও শিশুদের বই নিয়ে আলাদা ‘শিশু চত্বর’ রাখা হয়েছে। মেলায় শিশুদের আধিক্য দেখা গেছে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পাঠকদের উপস্থিতি আরও বাড়বে বলে আশা লেখক-প্রকাশকদের।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ছুটির দিনে জমে উঠেছে অমর একুশে বইমেলা

আপডেট সময় : ০৮:০১:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

ছুটির দিনে জমে উঠেছে অমর একুশে বইমেলা। মেলার ১৭তম দিন আজ (শুক্রবার) অন্যান্য দিনের তুলনায় ক্রেতাদের বেশি উপস্থিতি দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন মেলার স্টলের বিক্রেতারা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মেলা স্টল-প্যাভিলিয়নগুলোতেও বেড়েছে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড়। বিশেষ করে শিশুদের আগমনে ফিরেছে বইমেলার উচ্ছ্বাস। পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে অনেকেই উপস্থিত হতে দেখা যাচ্ছে এ মেলায়।
নয়াপল্টন থেকে আসা দর্শনার্থী আবু হাসান বলেন, প্রতি বছরই মেলায় আসা হয়। আজকেও এসেছি বই কেনার জন্য। তিনি আরো বলেন, ঢাকায় আমরা যারা পড়ালেখা করছি এই মেলার মাধ্যমে সবাই এক সঙ্গে হবো, মেলাও ঘুরে দেখা হলো। সঙ্গে বইও কেনা হলো। প্রাণের এ বই মেলায় বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হবে এটাও কম পাওয়া নয়।
ফার্মগেট থেকে আসা দর্শনার্থী আকিক হোসেন বলেন, বাবাকে নিয়ে বই মেলায় এসেছি। আমার ঘুরতে ভালো লাগে, তাই মেলায় ঘুরতে এসেছি। আজকে অনেক বই কিনব।
কলি প্রকাশনী থেকে বই কিনতে দেখা যায় আঞ্জুমান রোজীকে। তার সঙ্গে ছিলেন ছোট দুই ছেলে-মেয়ে। তিনি বলেন, আমার দুই সন্তানকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছি। বাচ্চাদের বিভিন্ন বইয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি। সারা দিন ঘরবন্দি থেকে মেলায় এসে বাচ্চারা আনন্দ উৎসবে মেতেছে।
বই বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন বলেন, মাশাল্লাহ আজকে ভালোই ক্রেতা রয়েছে। ক্রেতারা আগে থেকেই বইয়ের নাম ও লেখকের নাম নিয়ে আসেন। এতে স্টল বা প্যাভিলিয়নগুলোতে বেশি ভিড় দেখা যায় না। একটা বই কিনতে এসে যদি অন্য বই ভালো লাগে তাহলে সঙ্গে আরো দুই- একটি বই কেনেন।
রোকসানা আখতার নামে আরেক বই বিক্রেতা বলেন, আজ ক্রেতাদের উপস্থিতি ভালোই। সবাই তো বই কিনতে আসে না, অনেকেই ঘুরতে আসে। সবাই যদি বই কিনতেন তাহলে বই বিক্রি কয়েকগুণ বেড়ে যেত। গত কয়েক দিনের তুলনায় আজকে একটু বেশি বই বিক্রি হচ্ছে।
জানা গেছে, আজ ছুটির দিন হওয়ায় মেলা শুরু হয়েছে বেলা ১১টায়। চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলবে। তাই আজ সকাল থেকে শুরু হয়েছে বইপ্রেমীদের আনাগোনা। স্টলে স্টলে ঘুরে বইয়ের মলাট উল্টে দেখে কিনে সুন্দর সময় পার করছেন তারা।
প্রতিবছরের মতো এবারও শিশুদের বই নিয়ে আলাদা ‘শিশু চত্বর’ রাখা হয়েছে। মেলায় শিশুদের আধিক্য দেখা গেছে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পাঠকদের উপস্থিতি আরও বাড়বে বলে আশা লেখক-প্রকাশকদের।