সিলেটের আকাশে কাল থেকে ছিল সাদা মেঘের উড়াউড়ি। আজ দেখা মিলেছিল রোদের ঝলকের। ঠিক যেভাবে বাংলাদেশি বোলাররা দেখিয়েছিলেন। তারপর মাঝেমধ্যে মেঘ উড়ে বেরিয়েছে। তবে সেই মেঘ মাঠের খেলায় বিঘ্ন ঘটায়নি। প্রভাব ফেলেছে বাংলাদেশের বোলারদের পারফরম্যান্সে। প্রথম ১৭ ওভারেই ৫৭ রানে ৫ উইকেট তুলে নেওয়ার পরও লঙ্কানদের সংগ্রহ গিয়ে ঠেকেছে ২৮০ রানে। দিনের শেষ ১০ ওভারে তিন উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে হতাশার সাগরে ডুবিয়ে দিনটি পুরোপুরি নিজেদের করে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
শেষ বেলায় তিন উইকেট হারানোর পর পিচে ব্যাটিং করা কঠিন কি না প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং কোচ আন্দ্রে অ্যাডামসের কাছে তেমনটা মনে হয় না। তিনি বলেছেন, ‘ম্যাচে কি অবস্থা তা এখনও বলা যাবে না। মাত্র একটি দিন শেষ হয়েছে। আর দেখতে হবে আমরা কেমন ব্যাট করি। আশার কথা পিচে কোন ভূত নেই, শুধু বাউন্সটা একটু বেশি। অবশ্যই পিচ কেমন তার উপর নির্ভর করে ম্যাচের ফল হবে না, আমরা কেমন খেলবো সেটা গুরুত্বপূর্ণ।’
ইনিংসের শুরুতে তৃতীয় ওভারেই জাকির হাসানের উইকেট হারাতে হয় বাংলাদেশকে। বিশ্ব ফার্নান্দোর বলে ৯ রানে এলবিডব্লিউ হন এই ব্যাটার। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও একই ভাবে আউট হয়েছেন ৫ রান করে। ভরসা রাখা হয়েছিল সাবেক অধিনায়ক মুমিনুলের ওপর। কিন্তু ৫ রান করে কাসুন রাজিথার বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটারও।
অষ্টম ওভারে মুমিনুলের বিদায়ের পর দুটি ওভার টিকে থাকার দায়িত্বটুকু যথার্থভাবেপালন করেছেন ৯ রানে অপরাজিত থাকা মাহমুদুল হাসান জয় ও ১ বল খেলা তাইজুল ইসলাম।
দ্রুত তিন উইকেট তুলে নেয়া লঙ্কানরা দ্বিতীয় সকালেও পুরোদমে চাপে রাখতে চাইবে বাংলাদেশকে। এমন অবস্থাতে সফল হওয়ায়ই টেস্ট ক্রিকেটের মূল আকর্ষণ মনে করেন অ্যাডামস, ‘অবশ্যই শ্রীলঙ্কা কাল প্রথম বল থেকেই আমাদের আক্রমণ করবে। আমরা ওই অবস্থায় কিভাবে সফল হতে পারি সেটা দেখার বিষয়। এখন ব্যাটারদের খুব ভালো করতে হবে, এছাড়া ভিন্ন উপায় নেই। আমাদের তরুণ বোলিং লাইন সবচেয়ে সেরা সময়টা পার করেছে আজ। এবার ব্যাটারদের সামনে আসার পালা।’